By Malda 24 live | Posted on: 10 September 2024
দুর্ঘটনায় ভেঙ্গে গিয়েছে ছেলের কোমর ও পা।টাকার অভাবে থমকে গিয়েছে চিকিৎসা।মৃত্যু শয্যায় কাতরাচ্ছে ছেলে।চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছে বছর পঁয়ষট্টি র বাবা।হয়নি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডও।বাবার চোখের সামনে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ছেলে।তিন মাস আগে হরিশ্চন্দ্রপুরের বহর গ্রামের বাসিন্দা রহিম আলির গাড়ি দুর্ঘটনায় কোমর ও পা ভেঙ্গে যায়।সেই সময় পরিবারের লোকেরা পূর্ণিয়া,রায়গঞ্জ ও কলকাতায় চিকিৎসা করান।বাড়িতে জমানো টাকা ও আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে ধার দেনা করে ছেলের চিকিৎসা করেন বাবা তাজ মহম্মদ।এমনকি চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে শেষ সম্বল এক কাঠা জমি পর্যন্ত বিক্রি করে দেয় বাবা।সব মিলিয়ে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে।বাবা বয়স্ক ব্যক্তি।তার কোনো ইনকাম নেই।টাকার অভাবে বাড়িতে মৃত্যু শয্যায় রয়েছে ছেলে।তাই ছেলেকে বাঁচাতে দুয়ারে দুয়ারে আর্থিক সাহায্যের জন্য ঘুরছে।খাওয়ার অভাবে ছেলের শরীর কঙ্কাল হয়ে গিয়েছে।সবসময় বিছানায় শুয়ে থাকে।দাঁড়ানোর শক্তি নেই।অপরদিকে তার স্ত্রী দুর্ঘটনার পর স্বামীকে ছেড়ে বাবার বাড়ি চলে গিয়েছে।স্থানীয় বাসিন্দা সহিদুল ইসলাম বলেন,আমরা সামর্থ্য অনুযায়ী সাহায্য করেছি।চিকিৎসার জন্য পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ টাকা প্রয়োজন।কোনো স্বেচ্ছাসেবক সংস্থা বা সরকার তার চিকিৎসার খরচের ব্যবস্থা করে দিলে হয়তো দ্বিতীয় জীবন ফিরে পাবে রহিম।বাবা তাজ মহম্মদ বলেন,আমার তিন ছেলে।রহিম মেজো।তিন মাস আগে ভবানীপুর ব্রিজ মোড়ে গাড়ি দুর্ঘটনায় তার কোমর ও পা ভেঙে যায়।চিকিৎসা করাতে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে।বাস্তুভিটা ছাড়া এক ছটাক জমি নেই। আমি বয়স্ক ব্যক্তি। ইনকাম করতে পারি না। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড হয়নি। তাই কোন সরকারি চিকিৎসা পাইনি।চিকিৎসকরা বলেছে আরো পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ টাকা খরচ হবে।আমি কোথায় পাব এত টাকা।তাই ছেলেকে বাঁচাতে দুয়ারে দুয়ারে সাহায্য চেয়ে ঘুরছি। আমি প্রশাসন ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ছেলের চিকিৎসার জন্য অনুরোধ করছি।