By Malda 24 live | Posted on: 08 September 2024
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ (Bangladesh) বারংবার উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই সেখানে হাসিনা সরকারের পতন ঘটেছে। এমতাবস্থায়, বর্তমানে সেখানে কাজ শুরু করেছে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। তবে, এই সরকার দায়িত্বে আসার পরেও তার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনা। এই সরকার একদিকে যেমন বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের আধিকারিকদের সরিয়ে দিয়েছে, ঠিক তেমনি একাধিক উগ্রপন্থীদেরও মুক্ত করেছে। পাল্টে যাচ্ছে বাংলাদেশের (Bangladesh) জাতীয় সঙ্গীত? এই আবহে ইসলামী কট্টরপন্থীরা বাংলাদেশে (Bangladesh) মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। শুধু তাই নয়, তারা এটাও দাবি করেছে যে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত এবার বদলে ফেলতে হবে। অর্থাৎ, রবীন্দ্রনাথের লেখা জাতীয় সঙ্গীতের পরিবর্তে অন্য কোনও গানকে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত করার দাবি জানানো হয়েছে। তবে, এই বিষয়ে এবার প্রতিক্রিয়া দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। যেখানে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, এই দাবি মেনে নেওয়া হবে না। বিষয়টি পরিপ্রেক্ষিতে গত শনিবার বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্মীয় বিষয়ক পরামর্শদাতা খালিদ হোসেন জানিয়েছেন যে, “আমাদের বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কোনও পরিকল্পনা নেই”। পাশাপাশি তিনি এটাও জানিয়ে দিয়েছেন যে, অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে এমন কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে না যেটি বিতর্কের উদ্রেক করতে পারে। জানিয়ে রাখি যে, বাংলাদেশের (Bangladesh) জামাত-ই-ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা গুলাম আজমের ছেলে আবদুল্লাহিল আমন আজমি চলতি সপ্তাহের শুরুতেই বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত ও সংবিধান বদল করার দাবি জানান। যেখানে তিনি বলেন. “আমরা বর্তমানে যে জাতীয় সঙ্গীত শুনি, তা স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্বের পরিপন্থী। এই সঙ্গীত বঙ্গভঙ্গের সময়কার ও দুই বঙ্গের এক হয়ে যাওয়ার গান।” পাশাপাশি, দুই বাংলার এক হওয়ার গান কীভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হতে পারে এই বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। আবদুল্লাহিল আমন আজমি আরও জানান, “ভারত ১৯৭১ সালে এই গান আমাদের ওপরে চাপিয়ে দিয়েছিল। বহু গানই বাংলাদেশের (Bangladesh) জাতীয় সঙ্গীত হতে পারত। তাই, সরকারের উচিত একটি নতুন কমিশন তৈরি করার মাধ্যমে নতুন জাতীয় সঙ্গীত নির্বাচন করা।”